বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত তিনটি বহুপক্ষীয় ফোরামে যোগ দেবেন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চলতি এপ্রিল ও আগামী মে মাসে বহুপক্ষীয় ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকায় কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, শেখ হাসিনার এই ত্রিদেশীয় সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অষ্টম এসকাপ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হলো, লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক। অষ্টম এসকাপ অধিবেশন টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে, ডিজিটাল উদ্ভাবন কাজে লাগাতে, এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কিভাবে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের প্রতিনিধি এই অধিবেশনে যোগ দেবেন।

অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করবেন এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮-২৯ এপ্রিল রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের 'গ্লোবাল কোলাবরেশন, গ্রোথ অ্যান্ড এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল তিনি রিয়াদে থাকবেন।

এই বিশেষ বৈঠক সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতাদের অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে। বৈঠকটি এই অঞ্চল এবং এর বাইরে ফোরামের মূল উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেবে।

এর লক্ষ্য হলো, ক্রমবর্ধমান উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন দূর করা; যা উদীয়মান অর্থনৈতিক নীতি, শক্তি রূপান্তর এবং ভূ-রাজনৈতিক অভিঘাতের মতো বিষয়গুলো মোকাবেলায় নীতি ও পথকে আরো প্রশস্ত করা।

বৈঠকে সকল খাত এবং শিল্প থেকে ৭০০ জনেরও বেশি নেতা অংশ নেবেন। এই ফোরাম, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে একটি বিস্তৃত সংলাপ অনুষ্ঠানের সযোগ করে দেবে।

অন্যদিকে গাম্বিয়া, ৪-৫ মে বাঞ্জুলে ওআইসি ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছে।গাম্বিয়া বলেছে, বাঞ্জুলে অনুষ্ঠেয় ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে, তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ মে গাম্বিয়া যাবেন। ৭ মে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।