গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ‘জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ২৯ মার্চ, ২০২৪।

জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় এর কথা বলেন তিনি।

“বিরোধী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়;” বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি আরো বলেন, জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না, কারণ তার অবদান ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “দেশের প্রতি জিয়াউর রহমানের আত্মোৎসর্গ ছিললো অভূতপূর্ব। তিনি তার কাজের জন্য মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে আছেন, যা কখনো ম্লান হবে না।:

গয়েশ্বর বলেন, মেজর জিয়া কতটা সাহসী ছিলেন, তা বোঝার মতো একজন মানুষও আওয়ামী লীগে নেই। “জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের লিপির পাঠক ছিলেন না। তিনি ছিলেন ঘোষক এবং গণমানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছেন;” বলেন তিনি।

গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, জিয়াউর রহমানকে ছোট করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মহান করা সম্ভব নয়। দেশে কেউ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

“দেশের মানুষ যখন মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের অপেক্ষায় ছিলো, তখন জিয়াউর রহমানের ঘোষণা তাদের প্রভাবিত করেছিলো এবং জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো;” যোগ করেন গয়েশ্বর রায়। তিনি আরো বলেন, জিয়া জনগণের ভাষা ও মন বুঝতে পারতেন।

হাছান মাহমুদ: ‘মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর’

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানের চর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

“মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ও দোসর হয়ে কাজ করেছেন। এই সত্য উন্মোচন হওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে;” আরো বলেন হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে বলছে, আওয়ামী লীগ নেতারা তখন (মুক্তিযুদ্ধের সময়) কোথায় ছিলো।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ২৯ মার্চ, ২০২৪।

“স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার; যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ;” বলেন তিনি।

“এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে চাকরি করেছেন। যদিও তিনি কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি;” যোগ করেন হাছান মাহমুদ।

বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত বিফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি পরদিন ২৬ তারিখ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান কয়েকবার পাঠ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজায় যে দপ্তরী, সে ছুটির সিদ্ধান্ত নেয় না, টিভি-রেডিওতে যে উপস্থাপক সংবাদ পাঠ করে, সে এই সংবাদ সৃজনকর্তা নয়।

“জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে;” বলেন হাছান মাহমুদ।