অবন্তিকার আত্মহত্যা: কুমিল্লার বাড়িতে তদন্ত কমিটি, কথা বলেছে মায়ের সঙ্গে

বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।

বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি তার কুমিল্লার বাড়িতে গিয়ে তার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে কথা বলেছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে তদন্ত কমিটির আহবায়ক, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁওয়ের অরনিকা পার্কের বাসায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরির্শন করে।

সেখানে তারা আড়াই ঘণ্টা ধরে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি।”

অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, “তদন্ত দল ঢাকা থেকে আমার কাছে এসেছেন। তারা তথ্য নিয়েছেন। আমি তাদের সব বলেছি। আমার কথা তারা শুনেছেন এবং তা লিখে নিয়েছেন; বলেছেন ন্যায় বিচার পাবো।

এর আগে, অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন।

দ্বীন ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি সহকারী প্রক্টর ছিলেন। তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার অপর অভিযুক্ত রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে দুই দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আদালতে হাজির করে। এর পর, আদালতের নির্দেশে তাকে জেলে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম এবং তাঁর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে দ্বীন ইসলাম ও আম্মানের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রবিবার (১৭ মার্চ) অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে গ্রেপ্তার করে। পরে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের কাছে তাঁদের হস্থান্তর করে ডিএমপি।

সোমবার (১৮ মার্চ) আদালতে হাজির করার পর, আম্মানকে দুই দিন ও দ্বীন ইসলামকে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত।