সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ

ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন নাবিকসহ সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জলদস্যুরা। ১৪ মার্চ, ২০২৪।

ভারত মহাসগরে ২৩ নাবিকসহ ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার আগে জাহাজটিকে নোঙর করে জলদস্যুরা। তবে এখনো পর্যন্ত দস্যুদের কেউ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং তাদের কোনো দাবি জানায়নি; জানান কমোডর এম মাকসুদ আলম।

“ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই জলদস্যুরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে;” বলেন কমোডর এম মাকসুদ আলম।

লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক জলদস্যুদের পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ, গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে, জাহাজটিকে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে।

মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিলো সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে।

জাহাজটির মালিক কোম্পানি হলো, চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেড। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ।

ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম রয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ’র যাত্রাকালে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে জিম্মি নাবিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে।

তারা বলছেন, এ কারণে বিনা বাধায় জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের ২৩ নাবিককে।

জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের মূল প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি আমাদের জাহাজ সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে। তবে এখনো কেউ কোনো দাবি জানায়নি।”

এদিকে, কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া কনসালটেন্ট মিজানুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন যে জাহাজে সব ক্রু সদস্য নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।