স্পিকার শিরীন শারমিন: ‘রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি কার্যকর গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’

যুক্তরাজ্যের হাউজ অফ কমন্সের চার্চিল হলে আয়োজিত এক আলোচনায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ১২ মার্চ, ২০২৪।

রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি কার্যকর গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে, যুক্তরাজ্যের হাউজ অফ কমন্সের চার্চিল হলে বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনায় অংশ নেন ড. শিরীন শারমিন। এ সময় তিনি একথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী এবং নারী ভোটারের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। “রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি দেশকে আরো কার্যকর গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করতে পারে;” তিনি যোগ করেন।

স্পিকার চৌধুরী বলেন, যোগ্যতাবলেই বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদে নারীদের জায়গা করে নিতে হবে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, “জাতীয় সংসদে আমার প্রথম নারী স্পিকার হওয়াকে' অনেকে নারীর ক্ষমতায়নের এক বিশাল উদাহরণ হিসেবে ধরে নেন।”

“এটা একটি প্রতীক, যা দিয়ে বোঝা যায়, নারী যদি যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তাহলে সে সাফল্যের শিখরেও পৌঁছাতে পারে;” বলেন তিনি।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই লিঙ্গ সংবেদনশীল বিভিন্ন আইন ও নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে আলোচনায় মত দেন স্পিকার ড. চৌধুরী। বলেন, “লৈঙ্গিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে, নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুততর হবে এবং জেন্ডার রেস্পন্সিভ বাজেটিং এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।”

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিধান রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টিতে উন্নীত করেছেন।

সরাসরি নির্বাচনে জাতীয় সংসদে অধিক সংখ্যক মহিলা সংসদ সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চলছে বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের হাউজ অফ কমন্সের সদস্য, কূটনীতিক, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধি এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।