বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বহুমাত্রিক বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মামহমুদ।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় একটি হোটেল আয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া অভ্যর্থনায় এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
এ সময় তিনি সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ রয়েছেন। প্রত্যেক প্রবাসী, বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি।”
“আপনাদের আচরণের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচিত হয়। সবাই বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠালে দেশের অর্থনীতিতে তা বড় ভূমিকা রাখে;” আরো বলেন হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সম্পর্ককে বহুমাত্রিক পর্যায়ে উন্নীত করেছে বলে উল্লেখ করেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
“আগে সৌদি আরবের সঙ্গে কেবল জনশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক ছিলো। এখন পেট্রোলিয়াম, কৃষি, পরিবেশ, অবকাঠামো নির্মাণ, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং আরো নানাখাতে সেই সহযোগিতার সম্পর্ককে আমরা বহুমাত্রিক করেছি;” হাছান মাহমুদ যোগ করেন।
জেদ্দায় সদ্যসমাপ্ত ১৯তম ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে যোগদানের পাশাপাশি, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান জানান, টানা ৪র্থ বার সরকার গঠন করায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকলেই অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ।
তিনি জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর, পেট্রোলিয়াম ক্রয়, শিল্প সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
“সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন;” জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।