বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বিবেচনা, ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং নতুন ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারণের অকৃত্রিম ইচ্ছা দুই দেশের সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান চলতি সপ্তাহে ইউএনবিকে বলেন, “রাষ্ট্রীয় ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও পুরোনো সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের নতুন অধ্যায় দেখে মনে হচ্ছে, দেশ দুটির ব্যাপক রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হবে।”
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং অভিন্ন স্বার্থকে আরো এগিয়ে নিতে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার, উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এর এশিয়া অঞ্চলের সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
তাদের আলোচনায়, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ও শ্রম অধিকার প্রাধান্য পায়। প্রতিনিধি দল, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নির্বাহী, নাগরিক সংগঠন এবং শীর্ষ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক শাহাব মনে করেন, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও ইন্দো-প্যাসিফিক এজেন্ডার বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
“তাই, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, অপ্রথাগত নিরাপত্তা ও মানব নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতি আসবে;” বলেন অধ্যাপক শাহাব।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাব মিয়ানমারকে জেগে ওঠার একটি আহবান। আর এ থেকে অনুধাবন করা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তৃতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে না।
অধ্যাপক শাহাব মত প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশই তাদের পারস্পরিক স্বার্থের সমন্বয় ঘটাতে পারে। তিনি বলেন, “সর্বোপরি বাংলাদেশ পরাশক্তিগুলোর কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দেশ; কারণ আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেনি বা এদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বা নিরাপত্তার বিষয় নেই।”
অধ্যাপক শাহাব বলেন, বিষয় দু’টি বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় আঞ্চলিক নিরাপত্তার গ্যারান্টার করে তোলে।
নতুন অধ্যায় ও অগ্রাধিকার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনার বিষয়ে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র হেইনেস মাহনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অংশীদার এবং বাংলাদেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি জানান, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল যাতে অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিস্তৃত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।”
মুখপাত্র হেইনেস মাহনি এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করতে এবং জনগণের জন্য বিনিয়োগে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার উপায়গুলো নিয়ে কাজ করবো; যাতে তারা স্বাস্থ্যকর ও আরো সমৃদ্ধ জীবনযাপনের সুযোগ পায়।”
বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট বলে মনে করেন তিনি। বলেন, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে প্রচেষ্টা রয়েছে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি এর 'সত্যিকারের প্রতিফলন'।
“বাংলাদেশ অবশ্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম এবং এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত;” হেইনেস মাহনি যোগ করেন।
অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের মাধ্যমে উন্নয়নে বিনিয়োগ কাজে লাগাতে এবং যুবকদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমানভাবে মনোনিবেশ করছে।
হেইনেস মাহনি বলেন, “আমরা ব্যবসায়ী নেতা ও যুবকদের একত্রিত করছি, যাতে বাজার চাহিদা আছে, এমন বিষয়ে তরুণদের আরো দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়।”
এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৃহত্তর সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে আরো প্রতিযোগিতামূলক হতে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন মেধাবী কর্মী বাহিনী তৈরি করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র জানান, তারা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে গবেষণা করছেন। বলেন, “আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার সময় যাতে দেশের প্রতিটি এলাকার জনগণ স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ জীবনযাপনের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ পায় সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।”
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা করার বিষয়েও কাজ চলছে। একই সঙ্গে, উপকূলীয় সীমান্তে কী ঘটছে এবং আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে কী আসছে, তা বোঝার জন্য সামুদ্রিক বিষয়ে সচেতনতায় বিনিয়োগ রয়েছে।
জিএসওএমআইএ এবং এসিএসএ
জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজিশন ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্টের (এসিএসএ) অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হেইনেস মাহনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জিএসওএমআইএ বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ উভয় পক্ষ আরো বাস্তব ও গভীর সম্পর্কের সুযোগ খুঁজছে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি, কার্যকরভাবে একটি প্রতিশ্রুতি, যা প্রতিটি পক্ষ কার্যকরভাবে অন্য পক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত যেকোনো তথ্য বা সংবেদনশীল সামগ্রী সুরক্ষিত রাখবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
অন্যদিকে, তিনি বলেন, এসিএসএ অংশীদার সামরিক বাহিনীর মধ্যে লজিস্টিক সহায়তা বিনিময়কে সহজতর করে এবং অর্থবহ সম্পৃক্ততার সুযোগ বাড়ায়।
মুখপাত্র হেইনেস মাহনি আরো বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে এসিএসএ নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। তবে দুই পক্ষ যদি মনে করে যে এটি যথেষ্ট সুবিধা দেবে, তবে, ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
মিয়ানমার পরিস্থিতি
মুখপাত্র হেইনেস মাহনি বলেন, “অবশ্যই আমরা খুবই উদ্বিগ্ন এবং বার্মার (মিয়ানমার) ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বার্মায় (মিয়ানমার) চলমান সংঘর্ষ খুবই উদ্বেগজনক। এটি কেবল এই অঞ্চলের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি জানান, মিয়ানমারে চলমান সংকট উদ্বেগজনক বিষয় এবং মিয়ানমারে প্রায় ৫০ কোটি ডলার-সহ বর্তমান সংকটে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
“সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করা, স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং টেকসই ও মানবিক সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য;” আরো বলেন হেইনেস মাহনি।
দূতাবাসের মুখপাত্র হেইনেস মাহনি বলেন, বার্মায় সংঘর্ষের কারণে, দেশটিতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এবং বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী, উভয়ের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে।
এ বছরের শুরুর দিকে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তা শরণার্থীদের জন্য মাসিক খাদ্য রেশন প্রতি মাসে ১০ ডলারে উন্নীত করতে সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, তাদের (রোহিঙ্গাদের) সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিলো। “আমরা বাংলাদেশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে চাকরি-দক্ষতা ও ব্যবসায় প্রশিক্ষণসহ বহুপক্ষীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি; যাতে জনগণকে তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে;” বলেন হেইনেস মাহনি।
ইতিবাচক পরিবর্তন
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং ফরেন পলিসির সাপ্তাহিক দক্ষিণ এশিয়া ব্রিফের লেখক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো ইতিবাচক দিকে গেছে। তবে, এই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে বর্ণনা করেছিলো।
তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছন, এই পরিবর্তন আসলে যতটা মনে হয় ততটা তীক্ষ্ণ নয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্পষ্ট পরিবর্তনের মধ্যে কর্মকর্তাদের সফর হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পাঠানো বার্তা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইঙ্গিতের কথাও উল্লেখ করেছেন মাইকেল কুগেলম্যান।
বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সমালোচনাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর, বাংলাদেশের এই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে উল্লেখ করে। পরে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর কালে,বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বাংলাদেশি কর্মকর্তারা নতুন অধ্যায় শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “নির্বাচন এখন অতীতের বিষয়।” নানা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের উল্লেখসহ উভয় পক্ষের বার্তা উষ্ণ ও কার্যকর বলে জানান তিনি।
দুই দেশের চলমান সম্পর্ক প্রসঙ্গে মাইকেল কুগেলম্যান উল্লেখ করেন, একটি সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে, ওয়াশিংটন ঢাকার উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিতে চায়।
ফরেন পলিসির সাউথ এশিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তারা যত বেশি প্রকাশ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে মত দেবেন, তত বেশি তাদের জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে।”
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কৌশলগত বিবেচনা ভূমিকা রাখতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকরভাবে বেইজিং ও মস্কোকে ঢাকায় সুবিধা দিয়েছে এবং নয়াদিল্লিকে স্থান দিয়েছে।
কুগেলম্যান আরো বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। প্রতিবেশী মিয়ানমারে সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে এবং বাংলাদেশ লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে; তবে তাদের প্রত্যাবাসন করতে চায়।’
এসব স্পর্শকাতর ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের পর্যাপ্ত কূটনৈতিক পরিসর নিশ্চিত করতে চায় ওয়াশিংটন; বলেন কুগেলম্যান।
তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মনোযোগ ক্রমবর্ধমানভাবে কেন্দ্রীভূত হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র অন্যত্র কূটনৈতিকভাবে কম মাথা ঘামাতে চায়।
“সম্পর্কের ইঙ্গিত ও বার্তা, ইতিবাচক ভবিষ্যত ও সম্ভাবনার ওপর জোর দিচ্ছে। অবশেষে এটি স্পষ্ট, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কৌশলগত অপরিহার্যতা;” লিখেছেন মাইকেল কুগেলম্যান।