নজরুল ইসলাম খান: ‘আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই এবং বিশ্বাস করি এটি ঘটবে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান শুক্রবার (২৩ ফেব্রয়ারি) গ্রেপ্তার অবস্থা মারা যাওয়া এক বিএনপির বাসায় যান।

বিএনপির আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কথা বলতে পারে না উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রয়ারি) গ্রেপ্তার অবস্থা মারা যাওয়া এক বিএনপির বাসায় যান নজরুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা, সমাজকর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল গত বছরের ৩০ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিএনপির অভিযোগ, নির্যাতনের ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর বুলবুলকে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এর ছয় দিন পর ৩০ নভেম্বর মারা যান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সময়ের দাবি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়ন করে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এবং অতীতে বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের দল বিজয়ী হয়েছে।

“গত ২০০৭ সালে সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার সময় নির্বাচন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমাদের বাধার মুখে তা করতে ব্যর্থ হয়েছিলো। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি;” নজরুল ইসলাম খান যোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ প্রবর্তিত একদলীয় শাসন বাকশাল বাতিল করে তাদের দল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপি সামরিক স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেজন্য বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে বিএনপি।

এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করছে।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে। বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। তারা ১০-১২ বছর আগে থেকেই বলে আসছে, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি বিএনপির নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলো। সেই সময় তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিলো, নাকি সোজা ছিলো।”

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফিরে আসতে ২১ বছর লেগেছিলো; তাই বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আওয়ামী লীগের নেই।

সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তুলেন নজরুল ইসলাম খান এবং সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি নেতা বুলবুলের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যার ঘটনা’ আখ্যায়িত করেন নজরুল ইসলাম খান এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

হাছান মাহমুদ: ‘বিএনপি নেতারা অসংলগ্ন কথা বলছেন’

তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের তোপের মুখে রয়েছে। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন যে যারা নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, তারা এখন চুপসে গেছে; তাদের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

“বিএনপির উচিত অপতৎপরতা বন্ধ করা এবং সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করা; বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক।