রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ব্রিটিশ সংসদের একটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহবান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান যে, শেখ হাসিনা বলেছেন মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকরা যেন তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, তারা যেন সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এই সংকটের দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
“পুরো বিশ্বের উচিত এই সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে মিয়ানমারের নাগরিকরা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে,” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেন।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য ভারী বোঝা হয়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
মিয়ানমারের নৃশংস দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ আশাবাদী নয়
একই দিনে, ঢাকায় দায়িত্বরত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। এ কারণে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
গোয়েন লুইস বলেছেন, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার। আর, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশও তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে, রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন গোয়েন লুইস ও হাছান মাহমুদ।
গোয়েন লুইস আরো বলেন, “আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।”
এর আগে, রোহিঙ্গা ও কক্সবাজার এলাকায় তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।