রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই: বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রত্যাশা করে ফ্রান্স

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।

বাংলাদেশের সঙ্গে আরো বিস্তৃত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।

বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই। এ সময় তিনি তার দেশের এই আগ্রহের কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই উল্লেখ করেন যে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি, প্রতিরক্ষা, এভিয়েশন, মহাকাশ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো অংশীদারিত্ব গড়ে তোলতে চায় ফ্রান্স।

সাক্ষাৎকালে, দু'দেশের জনগণের মধ্যে সংস্কৃতি, রন্ধনপ্রণালী ও শিল্পকলার মিল তুলে ধরেন মেরি মাসদুপুই। এ সময় তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন ও সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ করেন।

আগামী বছর প্যারিসে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও শিল্পকলা নিয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী একটি উৎসবের আয়োজন করবে ফ্রান্স।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফ্রান্সের স্বীকৃতি দেয়ার কথা স্মরণ করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। দু'দেশের সম্পর্ককে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-এর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এসব সফর, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, কৌশলগত সম্পর্কের দিকে রূপান্তরিত করেছে।

বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট মোকাবেলা, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী তিন বছরে ১০০ কোটি ইউরো আর্থিক প্রতিশ্রুতি এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য ফ্রান্সের সরকারকে ধন্যবাদ জানান হাছান মাহমুদ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ উত্থাপন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবে রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই তার সরকারের অব্যাহত মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের আশ্বাস দেন।

উভয় পক্ষই গাজার যুদ্ধের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং এই সংকটের দ্রুত অবসান প্রত্যাশা করেন।