'ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে': যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নকেন্দ্রিক থেকে আধুনিক অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমি আশা করি, একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে পারব। নিরাপত্তাসংক্রান্ত অংশীদারত্ব জোরদার করতে পারব এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জসমূহ যেমন—জলবায়ু পরিবর্তন, অবাধ ও উন্মুক্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (ইন্দো প্যাসিফিক) এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণে সহযোগিতা করতে পারব।”

বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

এতে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় সহযোগিতার অগ্রগতির ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।

ডেভিড ক্যামেরন বলেন, “আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য শোনার এবং আমাদের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।”

ডেভিড ক্যামেরন সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, “আমাদের গভীর পারস্পরিক সম্পর্ক, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং পারস্পাকি স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।”

ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস থেকে সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে এই মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বুধবার (২৪ জানুয়ারি) হাছান মাহমুদের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।