নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বরিশালে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) লিফলেট বিতরণী কর্মসূচি থেকে দলটির আটজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের লাঠিচার্জে কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলীয় নেতারা। বিএনপির বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বীনি কুমার হল চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সদর রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণের জন্য দলীয় নেতা কর্মীরা জড়ো হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে নেতা-কর্মীরা। কিন্তু শুরু থেকেই নেতা কর্মীদের বাধা দিচ্ছিল পুলিশ। পরে নেতা- কর্মীরা লিফলেট বিতরণের জন্য কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় বাধা দেওয়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
বিএনপির বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, নির্বিচার লাঠিচার্জের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের ধরে ধরে গাড়িতে তুলতে থাকে পুলিশ। এ সময় কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় নেতা-কর্মীরা।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুর রহমান বলেন, কোনোরকম পূর্বানুমতি ছাড়াই জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো সহিংস আচরণ করেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা।