রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন: 'জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নেয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব'

ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩।

তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, জনশক্তিকে দক্ষ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসে, ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান তিনি এসব কথা বলেন।রাষ্ট্রপতি বলেন, “জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব।”

এ ক্ষেত্রে বেসামরিক ও সামরিক আমলাতন্ত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে 'সোনার বাংলা' হিসেবে গড়ে উঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, বিভিন্ন উন্নয়ন পকল্পের বাস্তবায়ন তার ইঙ্গিত দেয়। আর, এ ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীসহ জাতীয় ক্ষমতার সব বিভাগের অবদান রয়েছে।”

কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি তিনি বলেন, “এই কোর্স জাতি গঠনে সহায়ক এবং নিজের দেশকে আরো উন্নত করার একটি সুযোগ। এখানে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এই কোর্সগুলো আপনাদের পেশাগত আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে উন্নত করবে।”

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “সংহতি, স্বচ্ছতা, অঙ্গীকার, নিষ্ঠা, জবাবদিহি, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা হলো সেই সব গুণাবলী, যেগুলো নিখুঁত দূরদর্শী নেতা, অগ্রদূত ও একজন ভালো কর্মকর্তা তৈরি করে। আশা করি, আপনার অর্জিত জ্ঞান, নীতি নির্ধারণ, নিরাপত্তা, যুদ্ধ কৌশল ও উন্নয়ন সম্পর্কে আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।” তিনি বলেন, “আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আপনারা সবসময় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।”

সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬ জন, বেসামরিক প্রশাসনের ৪৩ জন এবং বন্ধুপ্রতিম দেশের ২৯ জনসহ মোট ৮৫ জন প্রশিক্ষণার্থী এই কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।