ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে খাদিজার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

এই আদেশের ফলে খাদিজার মুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানান তাঁর আইনজীবী।

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

মামলার পর নিউমার্কেট থানার মামলায় পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ২৫ মিনিটের সময় মোবাইল ফোনে মেজর (অব.) দেলোয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দেখতে পান। হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ শিরোনামের ভিডিওর সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় দেলোয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। মামলার এজাহারের সঙ্গে তিন পাতার স্ক্রিনশট ও ভিডিও–সম্বলিত সিডি সংযুক্ত করা হয়।

এ মামলায় ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

একপর্যায়ে দুই মামলায় বিচারিক আদালতে কয়েক দফায় খাদিজার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ বাতিল চেয়ে খাদিজার করা আবেদনের শুনানি চার মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখার আদেশ দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ। অবশেষে চার মাস পর বৃহস্পতিবার খাদিজাকে জামিন দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।