নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিএনপির পক্ষে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা চরম ঘৃণার সঙ্গে তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি”।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সমগ্র জাতিকে উপহাস করেছেন”।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। বুধবার রাত ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন—এবি পার্টি
এদিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণাকে জাতির সঙ্গে সরকার ও ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন বলে ক্ষোভ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
একতরফা তফসিল প্রত্যাখ্যান ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী ইসির পদত্যাগ দাবি করে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় দলের বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটি।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তফসিল ঘোষণাকে চরম উপহাস ও প্রহসন বলে ক্ষোভ জানিয়েছে। ১৫ নভেম্বর, ২০২৩।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল দেশে অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।
জনগণকে যার যার অবস্থান থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল যে সংলাপের চিঠি দিয়েছে তাকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনের অশুভ চক্রান্ত পরিত্যাগ করে সংলাপের মাধ্যমে তারা বর্তমান সংকট উত্তরণের দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
এই সংলাপে বিরোধী দলগুলো যাতে মুক্ত, অবাধ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য বিরোধী দলগুলোর সব নেতা-কর্মীকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশের মানুষের প্রাণের দাবি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যে দাবিতে এবি পার্টিসহ দেশের প্রধান বিরোধী সব রাজনৈতিক দল আজ আন্দোলন করছে। ২৮ অক্টোবর বিরোধীদলগুলোর সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও তার সহোযোগী সব সংগঠন এবং পুলিশ একত্রে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য চলমান যে আন্দোলন, সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তার প্রতি এবি পার্টির সংহতি ও সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া, নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে লালকার্ড প্রদর্শন ও মিছিল করবে বলে জানায় দলটি।