আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ নভেম্বর, ২০২৩।

বিদেশেও প্রশংসিত হবে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমি পরিচালক, শিল্পী ও প্রযোজকসহ সকলকে অনুরোধ করব বিদেশে প্রশংসা কুড়ায় এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য”।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র একটি সমাজকে সচেতন, বিনোদন ও সংস্কার করতে পারে এবং ইতিহাসকে কেন্দ্র করে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

তিনি বলেন, “চলচ্চিত্র আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে”।

শেখ হাসিনা বলেন, খুব বেশি দিন হয়নি সিনেমা হলগুলো গ্রামাঞ্চলে চলে গেছে, যেখানে মানুষ বিনোদনের জন্য যেতে পারত। “কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির সময় সিনেমা হলগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”।

তিনি উল্লেখ করেন, মহামারি চলাকালে তিনি সিনেমা হলের মালিকদের সঙ্গে বসে সিনেমা হলের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উপায় খুঁজে বের করেন এবং সিনেমা হলগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করতে বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে”।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়।

তিনি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে, আপনাদের সেই উদ্যোগ নিতে হবে এবং আমরা সেটাই চাই”।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পী রওশন আরা রোজিনা তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্যসচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য প্রদত্ত এই পুরস্কারটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার হিসাবে বিবেচিত হয়।

পরে শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।