রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপির

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে দুই দিনের বিরতি দিয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বুধবার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া দেশব্যাপী বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা আগে এই নতুন আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। চলমান অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরসহ ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্য বিরোধী দলগুলোও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।

এ ছাড়া নিহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্মরণে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে দোয়ার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, নিহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গ্রেপ্তার সব নেতাদের মুক্তি এবং তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবরোধ অব্যাহত থাকবে।

দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে তাদের অবরোধ সফল হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদও জানান রুহুল কবির রিজভী।

২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন, ৫ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দিন এবং ৮ নভেম্বর থেকে দুই দিন দেশব্যাপী অবরোধ ঘোষণা করেছিল দলটি। বৃহস্পতিবার দলটির তৃতীয় দফায় দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন পার হচ্ছে।