নয়াপল্টনে সহিংসতায় বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: আটকের আগে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসমাবেশ যুবদলের এক নেতা নিহত ও এক হাজারের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত। ২৮ অক্টোবর, ২০২৩।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) যুবদলের এক নেতা নিহত ও এক হাজারের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল শনিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। পরে, ২৯ অক্টোবর (রবিবার) মির্জা ফখরুলকে আটক করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভয়েস অফ আমেরিকাকে শায়রুল কবির খান জানান, "আজ ২৯ অক্টোবর সকাল ৯ টা ২০ মিনিট গুলশান ১৮ বাসা ৭১ নম্বর রোড থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার-কে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি অসুস্থ, এই পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক।"

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “বিএনপির মহাসমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গুলি করে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন।”

যুবদল নেতা হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। বলেন, “সহিংসতায় অনেক গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়েছেন।”

তিনি বলেন, “আহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার থেকে দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।”