ওষুধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে উন্নতমানের জাহাজ নির্মাণের জন্য বেলজিয়ামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ব্রাসেলসের এফপিএস চ্যান্সেলারিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন “আমরা এখন জাহাজ নির্মাণ করছি। তবে আপনারা উন্নতমানের জাহাজ তৈরি করতে বাংলাদেশে আসতে পারেন। আমরা পায়রায় একটি বড় সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছি, আমরা আপনাদের সেখানে স্বাগত জানাচ্ছি”।
আলেকজান্ডার ডি ক্রু আশা প্রকাশ করেন, তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বেলজিয়াম শুধু নবায়নযোগ্য জ্বালানি নয়, জাহাজ নির্মাণ খাতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
আলেকজান্ডার ডি ক্রু বলেন, তার দেশ ওষুধ শিল্পে খুবই ভালো। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালসেও ভালো। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস ৯০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের ১১৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে বেলজিয়ামকে ওষুধ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, “বেলজিয়ামকে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সই করতে বলা হয়েছিল। এমনটি হলে বেলজিয়াম সাশ্রয়ী মূল্যে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদন করতে পারে। আলেকজান্ডার ডি ক্রু প্রস্তাবটি পছন্দ করেছেন”।
আলেকজান্ডার ডি ক্রু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্জিত অর্থনৈতিক সাফল্য এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বেলজিয়াম থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা ড্রেজিং ও স্প্রেডিং মেশিনের প্রশংসা করে বলেন, এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশ আরও কাজ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আলেকজান্ডার ডি ক্রু বলেন, ড্রেজিংয়ে বেলজিয়াম বিশ্বে সবার শীর্ষে।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, “বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে খুবই আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে”।