বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে, দুর্গাপূজা মণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শারদীয় দুর্গাপূজা হলো বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব সারা বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭১ সালে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে; তাই, এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। আমরা এই ভূমিতে আমাদের নিজ নিজ অধিকার উপভোগ করে বসবাস করবো।”
বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রার্থনা করার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।বলেন, “ এখন বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুতের আওতায় এসেছে এবং প্রতিটি পরিবারে খাবার রয়েছে। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রতিটি স্থান স্পর্শ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের কাজ এবং একমাত্র দায়িত্ব। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা এবং আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো।”
শেখ হাসিনা বলেন, “সারাদেশে আনন্দঘন পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। উৎসব চলাকালে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থা এবং আ্ওয়ামী লীগের সদস্যরা আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই এই পূজা-উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক। সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” এবার সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দির ও অস্থায়ী মণ্ডপে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব।