রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ হতে হবে— যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার

কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোনো প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ হতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর)বিকেলে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আফরিন আখতার বলেন, “তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব”।

আরআরআরসির কমিশনার মিজানুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন একটি মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অংশীদারদের প্রচেষ্টায় অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের দিকে মনোনিবেশ করছি”।

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।

আফরিন আখতার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং উদারতার প্রশংসা করে বলেন, “আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি”।

আফরিন আখতারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে। এ ছাড়াও, প্রতিনিধিদল শরণার্থীদের জীবন এবং আশ্রয় শিবিরের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার কক্সবাজার সফর করে।

২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

আফরিন আখতার ১৬-১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরকালে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সুশীল সমাজের সদস্য ও এনজিও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের বক্তব্য শুনেছেন তিনি।