বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ হ্রাস; ঢাকায় বেড়েছে সবজির দাম

বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ হ্রাস; ঢাকায় বেড়েছে সবজির দাম

শরৎকালের শেষ দিকে এসে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় বাংলাদেশে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর, এর প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে।শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দেখা গেছে, ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে, জাত ভেদে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এই দামবৃদ্ধির ফলে খুচরা বাজারে এখন সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

ঢাকার সবজি সরবরাহের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র কারওয়ান বাজার। এখানকার ব্যবসায়ী ও পাইকারি বিক্রেতারা জানান, আগাম জাতের শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে, সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে সবজি বিভিন্ন এলাকার জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এর ফলে ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, যশোর ও কুষ্টিয়া-সহ বিভিন্ন মোকাম থেকে রাজধানীতে সবজি সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। আর, এর প্রভাব পড়েছে সবজির দামে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী শুক্কুর আলী বলেন, “আমার পাইকারি দোকানে সাধারণত ৬ থেকে ৭টি সবজি বোঝাই ট্রাক আসে। সেখান থেকে প্রতিদিন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের পর, সবজি বোঝাই ট্রাকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ থেকে ৪ টিতে।”

সরবরাহের এই ঘাটতির কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, সবজি, মাছ, ব্রয়লার মুরগি ও ডিম তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সমস্যায় পড়েছে সীমিত আয়ের মানুষ। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনো পর্যাপ্ত সবজি আসেনি। তাই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে যাবে বলে জানান তারা।

খুচরা বাজারে দেখা গেছে; বেগুন জাত ভেদে ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। বাজারে সবচেয়ে দামী সবজি ক্যাপসিকাম। রঙিন ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি এবং সবুজ ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ, আদা, রসুন-সহ মসলার দামও কিছুটা বেশি।

এদিকে, চাল, ডাল, তেল, নুন-সহ প্রধান খাদ্য-পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হওয়ায়, সকল প্রজাতির মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে গড়ে ৪০ টাকা।তবে, মাংশের বাজার স্থিতিশীল।