বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “আইনি দিক বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।” সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, “আমি আগেও বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী, শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে; এটি প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এই আইনি অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আনা হলে, প্রথমে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি বাতিল করতে হবে। এরপর অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।”
খালেদা জিয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, “আবেদনটি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে। আমি মনে করি, সরকার আইন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।”
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়াতে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেয়া হবে না।”
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।