বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ফার্গুসন

ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ ট্রফি উন্মোচনের পর করমর্দন করছেন, বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস (বামে) এবং নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

নিউজিল্যান্ডের মতো দল যতবারই বাংলাদেশ সফর করে, ততবারই স্থানীয় পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ঢাকায় এসেছেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। তারা নিজ দেশে যেভাবে অভ্যস্ত তার থেকে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করছেন।

তবে, ব্ল্যাকক্যাপসের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লকি ফার্গুসন পরিস্থিতি নিয়ে সামান্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে চ্যালেঞ্জটি সামনে এসেছে, তা গ্রহণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

ফার্গুসন মনে করেন, এর আগে বাংলাদেশে খেলেছেন এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পরিস্থিতি ও অন্য সূক্ষ্ম বিষয়ে মূল্যবান ধারণা দেবেন। নিউজিল্যান্ডের কোচিং স্টাফের অংশ এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ শেন জার্গেনসেন তাদের সঙ্গে থাকায় সুবিধা রয়েছে।

ফার্গুসন জোর দিয়ে বলেন, “পিচ কীভাবে কাজ করে তা বোঝার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই জার্গেনসেন এবং আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করব। যারা কয়েক বছর আগে এখানে ছিল। … ইংল্যান্ডে (তাদের শেষ সিরিজে) যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। আমি উপমহাদেশে খেলা উপভোগ করি”।

একইভাবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের বেশ কয়েকজন সদস্য।

বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ এই সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। এটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নতুনদের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী। আশা করি, বৃষ্টি থামবে। আগামীকালের পাশাপাশি সিরিজজুড়ে পিচের পরিস্থিতি কেমন হয় তা দেখতে আমি আগ্রহী”।

তার মতে, এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের উইকেট শিকারীর ভূমিকা নিতে হতে পারে। তবে, তিনি পেসারদের সম্ভাব্য অবদানকে উড়িয়ে দেননি।

তিনি আরও বলেন, “ইংল্যান্ড সফরের সময় আমি এখান থেকে কিছু হাইলাইট দেখেছি এবং পেসারদের জন্য কিছু অনুকূল পরিস্থিতি ছিল। তখনই পরিবর্তনগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। … অত্যন্ত আর্দ্রতার কারণে বলের সুইং করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আমাদের সুইং বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আগামীকাল এটিকে কাজে লাগাতে পারব”।

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড—দুই দলের জন্য এই সিরিজ চলতি বছরের শেষের দিকে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে তাদের স্কোয়াডকে সুন্দর করার কিছু একটা করার চূড়ান্ত সুযোগ দেবে। নিউজিল্যান্ড দলের কিছু খেলোয়াড় বিশ্বকাপ দলে নেই। তবুও, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সিরিজটিকে সেটআপের মধ্যে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরও বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট আবর্তন হয়েছে, তাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করেছে। নিঃসন্দেহে, এই সপ্তাহের সুযোগটি আন্তরিকভাবে কাজে লাগাবেন তারা”।