বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হতে পারে নেপাল: এফবিসিসিআই

বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হতে পারে নেপাল: এফবিসিসিআই

ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, “নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির একটি ভালো উৎস হতে পারে।” মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকায়, নেপাল থেকে আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নেপাল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির সরকারের শিল্প বিভাগের মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) বাবুরাম গৌতম।

মাহবুবুল আলম বলেন, “জ্বালানি খাত নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অন্যতম আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদার সম্মুখীন হচ্ছে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দিকে স্থানান্তরে সহায়তা করবে।”

এফবিসিসিআই সভাপতি নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশ সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বিমসটেকের সক্রিয় সদস্য। আর উভয় দেশের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা রয়েছে।”

এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, সিরামিক, পাটজাত পণ্য ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, আইসিটি খাত নেপালের জন্য সুবিধাজনক খাত বলে উল্লেখ করেন। তিনি নেপালকে বাংলাদেশে একচেটিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

জবাবে নেপাল প্রতিনিধি দলের প্রধান বাবুরাম গৌতম বলেন, “বাংলাদেশ-নেপাল অংশীদারিত্ব, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান-কে গতিশীল করে। নেপালের বাজারে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

নেপালের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সেখানে দেশটির পর্যটন, পরিবহন, অবকাঠামো, আইসিটি, খনি, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি এবং জলবিদ্যুৎ খাতকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তুলে ধরা হয়। সুযোগগুলো তুলে ধরে নেপালের প্রতিনিধি দল, এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।