স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য দোহা কর্মসূচির আওতায় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দাবি করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি একটি নিয়ম ভিত্তিক বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই দিনব্যাপী এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে গোলটেবিল আলোচনায়, বাংলাদেশের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এ দাবি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আলোচনায় তিনি এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সমন্বিত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের জন্য দুর্ভিক্ষ এখন অতীতের বিষয়।” আব্দুল মোমেন বিশ্ব নেতাদের বলেছন, “এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে বিশাল ফাঁক রয়েছে। এই ফাঁক পূরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য দোহা কর্মসূচির আওতায় প্রতিশ্রুতি রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সবার বা 'সমগ্র সমাজের' অংশগ্রহণে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে বাংলাদেশ।” এসডিজি-কে বর্তমান সময়ের 'ম্যাগনাকার্টা' বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “বাংলাদেশ দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিরসনে নানামুখী প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা দুর্ভিক্ষকে অতীতের বিষয় বানিয়েছি।”
আব্দুল মোমেন বলেন, “তবে এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে বিশাল ফাঁক রয়েছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য দোহা কর্মসূচির আওতায় অঙ্গীকার বাস্তবায়ন চাই। বাংলাদেশ একটি নিয়ম ভিত্তিক বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা চায়।”
রেয়াতি ঋণ এবং জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তির জন্য ন্যূনতম শর্ত আরোপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে পর্যাপ্ত প্রণোদনা দিতে হবে।
এদিকে, শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা এসডিজি-এর বেশিরভাগ লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি খুব ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর, ক্ষুধা ও চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০৩০ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সেট উদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ব যে বিপদের সম্মুখীন হবে সে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।