বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সব দেশেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশেষ করে তেল ও চিনিসহ অন্য আমদানি করা পণ্যের। এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার খামারবাড়ির ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) আয়োজিত ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই এসব পণ্যের দাম বাড়ে। ভোজ্যতেল ও চিনির প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। মসুর ডাল আমদানি করতে হয়। এ জন্য এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়।
অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির দেওয়া কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, টিসিবির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অক্টোবর থেকে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করা সম্ভব হবে।
টিসিবির কার্ড বাড়ানো যাবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, কার্ড পাওয়া বা দেওয়ার মতো যোগ্য মানুষ পাওয়া যায় তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা ১ কোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ১ কোটি পরিবার কার্ড মানে প্রায় ৫ কোটি উপকারভোগী। কারণ একজন কার্ডধারীর পরিবারে গড়ে ৫ জন থাকলেও সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ কোটি হবে।
এ প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল ৫০ লাখ কার্ড করার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন সংখ্যাটি ১ কোটি করতে। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ১ কোটি পরিবার কার্ড করেছি।
অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান এবং টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।