বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই কুয়েত এয়ার ওয়েজের একটি বিমানে শিশু ওঠার ঘটনায় ১০ জনকে বিমানবন্দরের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ, এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক), কুয়েত এয়ারওয়েজ ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস) প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
এ ছাড়াও, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন উপ পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তিনি এ তথ্য জানান। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি শিশু পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বেষ্টনি ডিঙ্গিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে পড়ে।
জুনায়েদ মোল্লা নামের শিশুটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়ইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে জুনায়েদকে বিমানবন্দর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, রাত সোয়া ৩টার দিকে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কথা ছিল।
শিশুটিকে ফ্লাইটের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে কেবিন ক্রুরা তাকে তার আসনে বসতে বলে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় কেবিন ক্রু তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে বসতে বলে।
তখন জুনায়েদ জানায়, তার বাবা-মা তার সঙ্গে নেই। কার সঙ্গে বিমানে উঠেছে সেটাও বলতে পারছিল না। এমনকি তার সঙ্গে পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাসও ছিল না।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল মিয়া জানান, জুনায়েদের বাবা দিনমজুর এবং গত কয়েক দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। এখন তাকে তার মামার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।