যৌথ বিবৃতি: অংশীদারিত্বের কৌশলগত মাত্রা গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ ও ফ্রান্স

অংশীদারিত্বের কৌশলগত মাত্রা গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ ও ফ্রান্স

বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রেলওয়ে সেক্টরসহ বাংলাদেশে মানসম্মত ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের এক যৌথ বিবৃতিতে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বরে) একথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “দুই দেশের অংশীদারিত্বের কৌশলগত মাত্রাকে আরো গভীর করতে, নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ শুরু করতে, দু’পক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আশা প্রকাশ করেছেন, প্যারিস ও টুলুসে আগামী ২৩ ও ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-ফ্রান্স বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি আনবে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষই, শিল্প থেকে পরিষেবা পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের গভীরতার কথা স্মরণ করেছে এবং ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় সহযোগিতার মাধ্যমে এটিকে আরো গভীর ও প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।”

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ফ্রান্স বাংলাদেশের শ্রম খাতে (২০২১-২০২৬) জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রশংসা করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেলাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্সের (জিএসপি) অধীনে একটি মসৃণ ও টেকসই পরিবর্তনের সুবিধার্থে এর বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সোমবার ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য বৈঠক করেছেন এবং বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিস্থাপকতা, সমৃদ্ধি এবং মানুষ-কেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন; জানানো হয় বিবৃতিতে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ও ফ্রান্স তাদের অংশীদারিত্বের কৌশলগত মাত্রাকে আরো গভীর করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”