ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি ফরাসি ভাষায় ভিজিটরস বইয়ে লিখেছেন, “আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম, যিনি তার জাতির স্বাধীনতার জন্য, এর ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য লড়াইয়ে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “তার পরিবারের যেসব সদস্য তার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন, আমি ফরাসি জনগণের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করতে চাই।”
শিল্পী রাহুল আনন্দ-এর বাড়িতে ম্যাক্রোঁ
নৈশভোজের পর রাহুল আনন্দের বাসায় যান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং দেড় ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিউজিক্যাল ব্যান্ড ‘জলের গান’র সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও যন্ত্রশিল্পী রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসায় যান। এসময় ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকা (এএফডি) এর পরিচালক ফ্রাঁসোয়া গ্রোসজিন এবং দুই দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তারা।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নৈশভোজের পর রাহুল আনন্দের বাসায় যান এবং দেড় ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন। রাহুল আনন্দ, তার স্ত্রী উর্মিলা শুক্লা, ছেলে টোটা এবং তিন বাংলাদেশি শিল্পী আশফিকা রহমান, কামরুজ্জামান স্বাধীন ও আফরোজা সারার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
‘আমি বাংলায় গান গাই’ এবং লালন সংগীতসহ বিভিন্ন গান শোনার পাশাপাশি রাহুলের বাজানো বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সুর শোনেন ম্যাক্রোঁ। তারা উপহার বিনিময় করেন। রাহুল আনন্দ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে একটি 'একতারা' উপহার দিয়েছেন। অন্যদিকে, ম্যাক্রোঁ রাহুল আনন্দকে একটি কলম উপহার দিয়ে এটি তার কবিতা ও গান লেখার কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
এই সফর উপলক্ষে, রাহুল আনন্দ ও তার পরিবার তাদের ১৪০ বছরের পুরোনো ধানমন্ডির বাসভবনের প্রবেশদ্বার ফুল দিয়ে সাজান।
তুরাগ নদে নৌকা ভ্রমণ
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফর সূচি শেষ করার আগে তুরাগ নদে নৌকা ভ্রমণ করেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফর সূচি শেষ করার আগে তুরাগ নদে নৌকা ভ্রমণ করেছেন। বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ম্যাক্রোঁর নৌকা ভ্রমণ নির্ধারিত ছিলো না। তবে তিনি এ ভ্রমণ উপভোগ করেছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। ড. হাছান তার ফেসবুক প্রোফাইলে দুটি ছবি আপলোড করে লিখেছেন, “ঢাকার তুরাগ নদে নৌকা ভ্রমণের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সেলফি। তিনি নৌকা ভ্রমণ অনেক উপভোগ করেছেন।”