রেলওয়ে কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকের পর চালু হলো শাটল ট্রেন

রেলওয়ে কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকের পর চালু হলো শাটল ট্রেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে বৈঠকের পর, আবার চালু হয়েছে শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক হয়। এর পর বিকেল থেকে শাটল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম শহরের বটতলী থেকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে প্রথম ট্রেন ছেড়ে যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতির প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ছয় দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়ায়, দুপুরের পর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।”

ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, “রেল স্টাফরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও, দুপুরের পর চালু করেন।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেনের ধাক্কা লাগলে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এই ঘটনার জের ধরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের লোকমাস্টারদের (এলএম) লাঞ্ছিত করে। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি ভাঙচুর করে।

রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, “বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতের দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হলে, আমাদের দুই লোকমাস্টারকে লাঞ্ছিত করা হয়। ফলে নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিলো। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় তারা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।”

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে না যাওয়ায়, ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থীরা।