সের্গেই ল্যাভরভ-এর মন্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল

বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। সমাবেশে বক্তৃতা দেন মির্জা ফখরুল।

সরকারের অনভিজ্ঞ কূটনীতির কারণে, বড় শক্তিগুলোর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বিএনপি মহাসচিব রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। শোভাযাত্রার আগে সমাবেশে বক্তৃতা কালে তার উদ্বেগের কথা জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চীন ও রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের স্বার্থ প্রচারের চেষ্টা করছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে আসার পর যা বলেছেন; তাতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়েছে যে, আধিপত্যের লড়াইয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রভাবের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হবে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।”

উল্লেখ্য, ল্যাভরভ দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, “মস্কো এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের শাসন ও হস্তক্ষেপ প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করবে।”

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, “এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তারা (সরকার) দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি দিচ্ছে এবং বাংলাদেশকে এমন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য তাদের কূটনীতি অযৌক্তিকভাবে পরিচালনা করছে।”

মির্জা ফখরুল মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের শপথ নিতে হবে; যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো এবং একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে (আগামী) নির্বাচন করবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ আমরা কোনো ধরনের সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে তাদের এক দফা দাবি আদায় করতে চাই। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করাই বিএনপির লক্ষ্য।”