দিল্লিতে শেখ হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুক্রবার

দিল্লিতে শেখ হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুক্রবার

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বন) সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, দুই পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বৃহত্তর সম্পর্কের পুরো ধারাটি আলোচনায় নাও আসতে পারে।

বৈঠকে কানেকটিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনায় অগ্রাধিকার বিষয় হতে পারে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশ এক সঙ্গে অনেক প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এবং তা বাস্তবায়নের সমস্যা আসতে পারে।

বাংলাদেশ নির্ধারিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের অন্য ইস্যুসহ তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করবে।

এর আগে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হবে উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমাদের কাছে তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যু আছে যা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করবেন। আমাদের অন্য সমস্যা আছে। আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে”।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সব সময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। “আমরা এটাকে সবসময় আলোচনার সূচিতে রাখতাম। এবারও আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন”।

বাংলাদেশ মনে করে দুই দেশের পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। কারণ দুই দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করতে মানসিকভাবে একমত।

পূর্ববর্তী আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় দুই নেতা নদী দূষণের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে এবং অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ ও নদীর নাব্যতা উন্নত করার জন্য কর্মকর্তাদের এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়ে’ আরও একটি মাত্রা যুক্ত করবে।