আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী মিরা রেসনিক

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত উপসহকারী মন্ত্রী (ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি) মিরা রেসনিক

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত উপসহকারী মন্ত্রী (ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি) মিরা রেসনিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফর করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী পর্যায়ের নিরাপত্তা সংলাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের হুমকি হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও আলোচনায় আসতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে দুই পক্ষ জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্টের (এসিএসএ) মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, তথ্য আদান-প্রদান ও সামরিক সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য জিএসওএমআইএ ও এসিএসএ অপরিহার্য।

একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ফলোআপ হিসেবে এই বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।

মিরা রেসনিক বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ছাড়া ব্যুরোর নিরাপত্তা সহায়তা অফিসেরও তত্ত্বাবধান করেন তিনি। বছরে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়টিও দেখভাল করেন মিরা রেসনিক।