চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ জেএমবি সদস্যের বিচার শুরু

চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ জেএমবি সদস্যের বিচার শুরু

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নব্য জেএমবির ১৫ সদস্যের বিচার শুরু হলো। সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিম অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রুবেল পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১১ জন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে থাকা দুজনসহ মোট ১৩ জন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির ছিলেন, দুই পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এর মধ্যে একটি অভিযোগপত্রে ১৫ জনকে আসামি করা হয়, যার বিচার শুরু হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে। হামলার ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে আলাদাভাবে শিশু আইনে দোষীপত্র দাখিল করা হয়।

এ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; নব্য জেএমবির স্থানীয় গ্রুপের আমির মো. নোমান খান, পুলিশ বক্সে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী মো. সেলিম, দাওয়াতি শাখার প্রধান জহির উদ্দিন এবং সদস্য মহিদুল আলম, মঈনউদ্দিন, আবু সাদেক, রহমতউল্লাহ আকিব, মো. আলাউদ্দিন, মো. সাইফুল্লাহ, মো. এমরান, মো. সাহেদ, মো. কাইয়ূম, মুহাম্মদ কায়ছার, মোরশেদুল আলম ও মুহাম্মদ শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকার ট্রাফিক বক্সে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার টহল পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এর পর, ২০২০ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র এমরান, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র আবু ছালেহ এবং দোকানকর্মী সাইফুল্লাহ-কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট হামলার সঙ্গে নব্য জেএমবি যুক্ত বলে তথ্য পায়।

একই বছরের অক্টোবরে নব্য জেএমবির এই গ্রুপের দাওয়াতি শাখার প্রধান জহিরসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গ্রুপের সামরিক কমান্ডার সেলিমকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বক্সে বোমা হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের পুরো ছক উদঘাটন করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।