উজান থেকে নামছে ঢল: জল বাড়ছে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে

বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদী প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ৪১ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামের সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদী প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ৪১ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক; সেই জলপ্রবাহ নেমে আসছে এসব নদনদী দিয়ে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার ৭২ সেন্টি মিটার নিচ নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র প্রবাহিত হচ্ছে পানি বিপদসীমার ৫৮ সে.মি নিচ দিয়ে। কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। পানি বৃদ্ধির এই প্রবণতার কারণে, জেলায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই-তিন দিন ধরে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। এছাড়া এই এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তীর ভাঙে, কমলেও তীর ভাঙে। দিনরাত বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তারা।

পানি উউন্নয়ন বোর্ড-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টিাত হচ্ছে। উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও যে কোনো সময় বিপদ সীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।”

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।”