পশ্চিমবঙ্গের শাড়ির নিজস্ব ব্র্যান্ড 'বাংলার শাড়ি'র সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়

আপাতত কলকাতার রাজ্য সরকারি  দক্ষিণাপন শপিং কমপ্লেক্স  ও  মেদিনীপুরের দিঘা, এই দু’জায়গার আউটলেট থেকে পাওয়া যাবে ‘বাংলার শাড়ি’।

পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই পড়শি বাংলাদেশ, মানে দুই বাংলার শাড়িপ্রেমীদের জন্যই সুখবর৷ বুধবার ২৩ অগাস্ট কলকাতার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন থেকে বাংলার শাড়ির নিজস্ব ব্র্যান্ডের সূচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব্র্যান্ড এর নাম ‘বাংলার শাড়ি’। আপাতত কলকাতার রাজ্য সরকারি দক্ষিণাপন শপিং কমপ্লেক্স ও মেদিনীপুরের দিঘা, এই দু’জায়গার আউটলেট থেকে পাওয়া যাবে ‘বাংলার শাড়ি’। বুধবার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন থেকে এই দুটি আউটলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এখান থেকে বাজারের তুলনায় সস্তায় গ্রামীণ শাড়ি পাবেন শাড়িপ্রেমীরা।

মহেশতলার নুঙ্গিতে দর্জি হাবের ভাচুর্য়াল শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, নুঙ্গিতে ৩ হাজার স্টল তৈরি করা হবে। দুয়ারে সরকারের কায়দায় দুয়ারে শিল্পের সন্ধানে চলতি অগাস্ট মাসের ১ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এবং পুরসভায় শিবির করে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মোট ২ হাজার ৪০০টি শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ। ৬৭৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদিত হয়েছে।

মমতার কথায়, “আগে শুনেছেন দুয়ারে সরকার, এবার শিল্পের সন্ধানে দুয়ারে শিল্প। মনে রাখবেন ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে দেশে আমরা এক নম্বরে। বাংলার দেড় কোটি মানুষ গ্রামীণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ৯০ লক্ষ ইউনিট রয়েছে। নট এ ম্যাটার অফ জোক।”

বহু সময় ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের প্রতি পুলিশি জুলুম বা স্থানীয় জুলুমের অভিযোগ ওঠে। একথা অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রীরও। তিনি বলেন, “শুধু শাড়ি নয়, মৌচাকের মধু থেকে সবজি, সবাইকে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কার্ড তৈরি করে দেব। তাদের সকলের আই কার্ড থাকবে। যাতে পুলিশ বা অন্য কেউ তাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা না নিতে পারে।”

তবে সব পুলিশ যে খারাপ নয়, একথাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কথায়, “খারাপ কাজ করে এক ভাগ মানুষ, দোষ হয় সকলের। যদি দেখেন কেউ টাকা নিচ্ছেন বা জোর করছেন, তাহলে সরাসরি আমাকে ফোন করুন।“

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে বেআইনি বাজি কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে আগেই তৎপর হয়েছিল রাজ্য। এদিনের মঞ্চ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যে ৫টি ক্লাস্টারের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ২২ জন শিল্পোদ্যোগীর হাতে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়।