পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করেছে ভারত, বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব

ভারতের চণ্ডীগড়ের একটি পাইকারি সবজির বাজারে পেঁয়াজ বাছাই করছেন একজন শ্রমিক৷ (ফাইল ছবি)

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের উপসচিব অমরিতা টিটুস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। রবিবার (২০আগস্ট) সকাল থেকে বাংলাদেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এক দিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিলো ৩৯ থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে।

বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, এর আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারকে কোনো শুল্ক দিতে হয়নি। এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করতে হবে। ফলে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি খরচ হবে। এর ফলে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কেজি প্রতি দাম পড়বে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা।

আমদানিকারকরা আরো জানান, “শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারত থেকে ৩৯ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আগামী দিনে ভারতে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে। তাই আমাদের সরকারকে ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে, মূল্য পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।” রবিবার ভারতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ কারণে নতুন আরোপিত শুল্ক পরিশোধ না করা পর্যন্ত পেয়াজ আমদানি সম্ভব হবে না বলেও জানান আমদানিকারকরা।

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছিলো। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। রবিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে, যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

তারা আরো জানান, আগামী ১ মাসের মধ্যে ভারতে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক গরম থাকার কারণে পেঁয়াজের মান নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে ভারতের বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে, ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বলে জানান দেশটির রপ্তানিকারকরা।