ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রয়েছে 'নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি', ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু-র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই নামকরণ। এই প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে মোদী সরকার 'প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা' নামকরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন সেখানে দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর আমলের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে। আছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দেখার সুযোগ।
কিন্তু কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানের এই নাম বদলের ঘোরতর আপত্তি তুলেছে। প্রধান বিরোধী দলের বক্তব্য, এটা সরকারের ক্ষুদ্র মনের পরিচয়। প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামটা রেখেই বাকি প্রধানমন্ত্রীদের কাজের বিষয়ে সেখানে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যেত।
বৃহস্পতিবার ১৭ অগাস্ট এই ব্যাপারে মুখ খেলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লাদাখ যাওয়ার পথে দিল্লি বিমান বন্দরে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে বলেন, "জওহরলাল নেহেরু এমন একজন ব্যক্তি যিনি নামে নয়, তার কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন। তাকে মুছে ফেলা যাবে না।"
নামবদলের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বুধবার ১৬ অগাস্ট-ই লম্বা বিবৃতি দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। বৃহস্পতিবার আর এক কংগ্রেস নেতা শশী তারুর বলেন, "নাম বদলে প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবজ্ঞা করল সরকার। কারণ বাড়িটির সঙ্গে নেহরুজির স্মৃতি জড়িত।"
প্রসঙ্গত, মধ্য দিল্লির ওই বাড়িটির পোশাকি নাম তিন মূর্তি ভবন। পরাধীন ভারতের শেষ সামরিক প্রধান ওই বাড়িতে থাকতেন। স্বাধীনতার পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ওই বাড়িতে থাকা শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর বাড়িটি নেহেরু স্মৃতি জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার হিসাবে গড়ে তোলে ভারত সরকার। দেশ-বিদেশের বহু গবেষকের গন্তব্য ওই বাড়ি।
তবে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নামবদল করা হলেও সেখানে নেহেরু-র প্রতি কোনওরকম অমর্যাদা করা হয়নি। আগের মতোই তার স্মৃতি বিজড়িত সব কিছু যত্ন সহকারে রাখা আছে।