বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ঘটনা গবেষণা করে বের করা প্রয়োজন— পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ১৫ অগাস্ট, ২০২৩।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নেপথ্যের ঘটনাগুলো আরও গবেষণা করে বের করা প্রয়োজন”।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ অগাস্ট) রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, “পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে দেশে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। বাসন্তীর কাহিনী প্রচার করা হয়েছিল। তখন বহু লোক দেশে আনাগোনা শুরু করে এবং একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে”।

আব্দুল মোমেন বলেন, “বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি চেতনা, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, একটি জাতিসত্তা সৃষ্টি করে গেছেন”।

আব্দুল মোমেন বলেন, পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে যারা এত অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। শুধু স্বীকৃতি অর্জন নয়, মাত্র দুই মাসের মাথায় বন্ধুপ্রতিম ভারতের সেনাদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

আব্দুল মোমেন আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে যান নাই, তিনি আমাদের হৃদয়ে একটি স্বপ্ন দিয়ে গেছেন, আর সেই স্বপ্ন হলো সোনার বাংলার স্বপ্ন। একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে। তাঁর সেই স্বপ্ন অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি”।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।