বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার (৯ অগাস্ট) রাতে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮টা ১০ মিনিটে ম্যাডামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শরীরে নতুন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁর কিছু মেডিকেল টেস্ট করা দরকার। সুতরাং, এই পরীক্ষার জন্য তাঁকে কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান। তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি জ্বরে ভুগছিলেন।

এর আগে ১৩ জুন হঠাৎ জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাঁর বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।