যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজদের সমূলে উৎখাত করতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করেছে। “সাধারণভাবে বলতে গেলে, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে”।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ন্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অগাস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, তাদের কাছে অন্য উপায়ও রয়েছে। যেমন সম্পদ জব্দ করা এবং অংশীদার দেশগুলোকে তথ্য দেওয়া যাতে তারা মামলা করতে পারে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, তারা বেশ কয়েকবার এটা পরিষ্কার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। “আমরা এটা সরাসরি পরিষ্কার করেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এটি পরিষ্কার করেছি এবং আমাদের নীতি অব্যাহত থাকবে”, বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ, ৬ থেকে ৮ অগাস্ট তাঁর বাংলাদেশ সফরের সময় দুর্নীতি মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একই কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সফরকালে নেফিউ কীভাবে দুর্নীতির অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ওপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব বিষয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত ফলাফল পায় না।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী ২০তম বার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে যেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।