বিশ্বভারতী জমি বিতর্ক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উচ্ছেদ নোটিসে স্থগিতাদেশ আদালতের

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে উচ্ছেদের নোটিসে ধরিয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ। এই বিতর্ক চলছে বহুদিন যাবত। এমনকি মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এই মামলাতেই এবার স্থগিতাদেশ জারি করল পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সিউড়ি জেলা আদালত।

কীসের ভিত্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে বিশ্বভারতীকে নথি পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে নথি পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অর্থাৎ আদালতের পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী। যদিও আদালতের নির্দেশের বিষয়ে এদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা অমর্ত্য সেন - কোনও পক্ষেরই কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য সেন, এই অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের শান্তিনিকেতনে প্রতীচী-র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দ্রুত জমি হস্তান্তরের দাবিও জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাল্টা হিসেবে বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে লেখা চিঠিতে অমর্ত্য সেন দাবি করেন, “উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে আমি ওই জমি পেয়েছে। এটা আমারই প্রাপ্য। এ নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই।”

বিদেশে থাকার কারণে সেই সময় বিশ্বভারতীর ডাকা শুনানিতে হাজির থাকতে পারেননি তিনি। এরপরই জবরদখলের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ১৩ ডেসিমেল জমি উচ্ছেদের নোটিস রুজু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আদালতে গড়িয়েছিল মামলা। এই মামলাতেই এদিন সিউড়ি আদালতের তরফে বিশ্বভারতীকে জমি জবর দখলের অভিযোগ সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।