ভারতের বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদে জরিপ শুরু, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অখুশি মুসলিম পক্ষ

ভারতের বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদে জরিপ শুরু, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অখুশি মুসলিম পক্ষ

ভারতের উত্তর প্রদেশে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের জরিপের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, এমনভাবে জরিপের কাজ করতে হবে যাতে মসজিদের কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়। মসজিদের কোথাও কোনও ধরনের খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না। নির্মাণের উপর কোনও ধরনের আঘাত না করে জরিপের কাজ করতে হবে।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে অখুশি মুসলিমপক্ষ। মামলাকারী অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির তরফে বলা হয় এই রায়ে পুরনো ঘা খুঁচিয়ে তোলা হল।

শুক্রবারই ৪ অগাস্ট সকাল ৭’টা পুনরায় জরিপ শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙেই ওই মসজিদ তৈরি হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে বৃহস্পতিবার জরিপের নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের মতো এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট বলেছে, জরিপের সময় কোনও ধরনের খনন কাজ করা যাবে না। সরানো যাবে না মসজিদের একটি ইঁটও।

এর আগে গত ২৪ জুলাই শীর্ষ আদালত জেলা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ২৪ তারিখ দুপুরের পর জরিপ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে চার সপ্তাহের মধ্যে জরিপের কাজ শেষ করতে হবে।

মামলায় হিন্দুপক্ষের দাবি, ঔরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেন। অন্যদিকে, মুসলিমপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে বিগত চারশো বছরে এই নিয়ে কোনও মামলা হয়নি যেখানে, সেখানে হঠাৎ এই বিবাদ খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে কেন, তা নিয়ে।

মসজিদ কমিটির আইনজীবী হুজেফা আহমাদি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘"ইতিহাস আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে ঘটনা এ দেশে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছিল।" বিশেষজ্ঞ মহলে মনে করা হচ্ছে, আহমাদি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে তৈরি হওয়া দাঙ্গা ও অবিশ্বাসের পরিস্থিতির কথা বলতে চেয়েছেন।