পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা মণিপুরকে: ক্ষত সারাবে 'ইন্ডিয়া'

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা মণিপুরকে: ক্ষত সারাবে 'ইন্ডিয়া'

জনজাতি দাঙ্গায় বিপর্যস্ত মণিপুর নিয়ে সারা দেশ উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রের বিজেপি-বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-রও এই মুহূর্তে অন্যতম হাতিয়ার মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি। এর মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনার কথা আগেই জানিয়েছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর গত রবিবার ৩০ জুলাই একটি ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মণিপুরের হৃদয় বিদারক ঘটনা মর্মাহত করছে। গভীরভাবে ব্যথা দিচ্ছে মনকে। মানুষের নৃশংসতা কখনওই কাম্য নয়।”

বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সবসময় মণিপুরের পাশে আছে। মণিপুরের মানুষজনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা নিয়েই পাশে থাকবে ইন্ডিয়া। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, "মণিপুরকে জ্বলতে দেখেও যেখানে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ক্ষমতাধররা, সেখানে মণিপুরের ক্ষত সারাবে ইন্ডিয়া।"

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ২৬টি দল নিয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি হয়েছে, তার মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতিনিধিরাও যাবেন মণিপুরে। তার আগে, গত ১৯ জুলাই মমতার নির্দেশে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি দল গিয়েছিল মণিপুরে। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন ওই দলে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং সুস্মিতা দেব। মণিপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তার রিপোর্ট তাঁরা তুলে দিয়েছিলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে।

উল্লেখ্য, সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুর ইস্যুতে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। কাংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো ও গণধর্ষণ করার ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই সেই ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা থেকে শুরু করে সমগ্র দেশ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। মণিপুরের ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির পাশাপাশি দীর্ঘ আলোচনার দাবি করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, যে বিতর্ক হবে ৮ অগাস্ট।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “মণিপুরের অরাজকতার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া লড়বে। মহিলা থেকে সংখ্যালঘু, দলিত সকলকে রক্ষা করাটাই হবে ইন্ডিয়ার লক্ষ্য। ইন্ডিয়া শান্তি, ঐক্যের পক্ষে।”