পবিত্র কুরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ-সুইডেনের আলোচনা

বাংলাদেশের ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ৭ জুলাই, ২০২৩। (ফাইল ছবি)

সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেনে পবিত্র কুরআনের কপি পুড়িয়ে ফেলার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার (৩০ জুলাই) সুইডেনের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের সময় এ উদ্বেগের কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এই বিষয়ে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোমের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।

যেকোনো পরিস্থিতিতে,পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও পুড়িয়ে ফেলার মতো ঘটনার প্রতি বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বলে জানান ড. মোমেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অযৌক্তিক উস্কানি বন্ধ করার জন্য, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

সুইডেনকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেন, সুইডেনে এ ধরনের কাজ আর হবে না। সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো ইসলামবিরোধী কাজের নিন্দা জানায় সুইডেনের সরকার। তিনি বলেন, “পবিত্র কুরআন বা অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননা একটি আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ।”

সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সুইডেনের সরকারি সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী, পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। তবে, পবিত্র কুরআন বা অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেয়া হয় না।

টোবিয়াস বিলস্ট্রোম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ধর্মের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের স্বাধীনতা সুইডেনের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্মের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননা করা স্বাধীনতার অপব্যবহার। তিনি আরো জানান, সুইডেনের বিচারমন্ত্রী সাম্প্রতিক ঘটনার আলোকে পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের একটি বিশ্লেষণ শুরু করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন ও পালন করে। সুইডেনের কর্তৃপক্ষ সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করবে।” তিনি সুইডেনকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ করেন।