রাজনৈতিক মহলের মতে যে কারণে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ঠিক একই কৌশল মাথায় রেখে সরকারও তাতে আলোচনায় সাড়া দিচ্ছে। বিরোধীরা চেয়েছিল সরকার যাতে মনিপুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে একতরফা ভাবে ৩১টি বিল পাস করিয়ে নিতে না পারে। অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা হলে সংসদের নেতা তথা সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দেওয়াটা সংসদীয় রীতি। ফলে নরেন্দ্র মোদী মণিপুর নিয়ে নীরব থাকলেও অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার উপর জবাবী ভাষণে তাঁকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির বিষয়ে বলতে হতে পারে। যদিও একথাও ঠিক প্রধানমন্ত্রী চাইলে জবাবী ভাষণেও মণিপুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে পারেন। যেমন লোকসভার বাজেট অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের উপর বির্তকের জবাবী বক্তৃতায় মোদী আদানি ইস্যু এড়িয়ে গিয়েছিলেন। যদিও বিরোধীরা সরকারকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ শনিয়েছিল ওই ইস্যুতেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে সরকার পক্ষের কৌশল হল তাঁরা এই সুযোগে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির নারী নির্যাতন, অনুন্নয়ন , অপশাসন নিয়ে সরব হবে। নভেম্বরে রয়েছে চার রাজ্য রাজস্থান, ছত্তিসশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভার নির্বাচন। এর মধ্যে শুধু মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। বাকি তিন রাজ্যে ক্ষমতায় বিরোধীরা।
রাজস্থানে নারী নির্যাতন নিয়ে সেই রাজ্যের একজন মন্ত্রী স্বয়ং বিধানসভায় সরব হয়েছেন। এই অপরাধে তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মন্ত্রী আবার একটি লাল ডায়েরি তুলে ধরে দাবি করছেন অশোক গেহলট সরকারের দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য আছে ডায়েরির পাতায় পাতায়। ছত্রিশগড়েও আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচারের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। একই পরিস্থিতি তেলেঙ্গানাতেও। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের পরিস্থিতি নিয়েও বিতর্কের ঝড় তুলতে চায় বিজেপি।