বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দণ্ডিত ব্যক্তিদের ফাঁসির রায় স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো কোনো বাধা নেই। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। দণ্ডপ্রাপ্তদের একজন, অধ্যাপক তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
গত ৩ মে রিভিউ আবেদন খারিজ করে পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে, ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
চলতি বছরের ২ মার্চ অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জনসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জনের একজন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন। অন্যজন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি তাহেরের সহকর্মী এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে, রাজশাহীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-এর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী-সহ দুই জনকে খালাস দেয়। পরে, ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে; আর, সালাম ও নাজমুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আদেশের পর মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও সালাম সুপ্রিম কোর্টে যান।