বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরের কাজির দেউরির নসিমন ভবনে অবস্থিত দলটির কার্যালয়ে হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) এই হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে হামলার সময় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কেউ ছিলেন না।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা জানান, পদযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে নেতা–কর্মীরা চলে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতা–কর্মী এই হামলা চালায়। হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করে নেতাকর্মীরা বাসায় চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের কার্যালয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এলাকার শিশু–কিশোর ফুটবল খেলোয়াড়দের মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ৭ থেকে ৮ জনকে আহত করা হয়েছে। হামলাকারীরা তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও দলীয় কার্যালয়ে লুটপাট চালায়। এ সময় মাঠে দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের কর্মীদের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার এক ঘন্টা পর বিএনপির মহানগর শাখার আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা ভাঙচুর করা অফিস পরিদর্শন করেন।
ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, বিএনপির পদযাত্রা থেকে একদল কর্মী উপনির্বাচনে আমাদের নৌকার প্রার্থী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করে। এতে এলাকার লোকজনদের কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির অফিসে হামলা করেছে। তারা কারা আমরা জানি না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নগরীর ওয়াসার মোড়ে অফিস (আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কার্যালয়) ভাঙচুরের ঘটনার পর কিছু লোক পাল্টা বিএনপির অফিসে হামলা করেছে। তবে আমরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।