ভারতের মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বজায় রইল। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের থেকে অর্থ দফতর গেল এনসিপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ড-এর মন্ত্রীসভায় যোগ দেওয়া অজিত পাওয়ার-এর হাতে। শুধু তাই নয়, পরিকল্পনা দফতরও পেলেন ‘বিক্ষুব্ধ’ এনসিপি নেতা।
গত ২ জুলাই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটেছিল। শরদ পাওয়ারের দল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির অন্দরে চিড় ধরে। দলীয় বিধায়কদের একটা বড় অংশকে সঙ্গে করে এননাথ শিন্ডে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে হাত মেলান অজিত। সেদিনই অজিত ছাড়াও আরও ৯ এনসিপি বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু কে কোন দফতরের মন্ত্রী হবেন সেটা ঠিক ছিল না।
গত কয়েকদিন মন্ত্রীসভা বণ্টন নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। সঙ্কটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অজিত পাওয়ারের দাবি। অর্থ, জল সম্পদ, হাউসিংয়ের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল অজিতের পছন্দের তালিকায়। সেই দফতর এতদিন যাঁদের হাতে ছিল তাঁদের রাজি করানোই ছিল মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
সেই নিয়ে টালমাটাল চলছিলই। শুক্রবার মন্ত্রীসভার বণ্টনে দেখা গেল, অজিতের দাবি প্রাধান্য পেয়েছে। অজিত ছাড়াও তাঁর সঙ্গে শপথ নেওয়া আরও আট বিধায়ক দফতর পেলেন। খাদ্য ও সরবরাহ এবং উপভোক্তা দফতর পেলেন ছগন ভুজবল। ধনঞ্জয় মুন্ডে পেলেন কৃষি দফতর। নারী এবং শিশুকল্যাণের দায়িত্ব তাটকারে। ওষুধ দফতর রইল ধরমরাওবাবা আতরমের হাতে। ডাক্তারি শিক্ষার দফতর গেল হাসান মুশরিফের কাছে।
এদিকে, এনসিপির অন্দরে চলছে কাকা শরদ পাওয়ার বনাম-ভাইপো অজিত পাওয়ার লড়াই। দলের নাম ও প্রতীক কার হাতে থাকবে সেই নিয়ে শরদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ারের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিধায়কের সংখ্যার বিচারে কাকা শরদের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছেন ভাইপো অজিত। এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে অজিতের দাবি, তাঁর কাছে ৪০ জনের সমর্থন আছে। এখন দেখার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কোনদিকে বাঁক নেয়।